Blog

আমাদের তেরখাদা

তেরখাদা উপজেলার আয়তন ১৮৯.৪৮ বর্গ কিমি। উত্তরে কালিয়া উপজেলা, দক্ষিণে রূপসা উপজেলা, পূর্বে মোল্লাহাটা উপজেলা, পশ্চিমে দীঘলিয়া উপজেলা। প্রধান নদী হলো : আঠারোবাঁকী। উপজেলা শহর ২টি মৌজা নিয়ে গঠিত। আয়তন ১০.১৭ বর্গ কিমি। জনসংখ্যা ১০১৩৬; পুরুষ ৫২.২২%, মহিলা ৪৭.৭৮%। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমি ৯৯৭ জন। শিক্ষার হার ৪০.২%। ডাকবাংলো ১।

মানচিত্রে-তেরখাদা-উপজেলা

ভৌগলিক পরিচিতি

 তেরখাদা উপজেলা খুলনা শহর হতে ২৫ কি.মি. দুরে অবস্থিত। যার পূর্বে রূপসা উপজেলা এবং বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলা, পশ্চিমে দিঘলিয়া উপজেলা, উত্তরে নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলা এবং দক্ষিনে খুলনা শহর অবস্থিত।

তেরখাদা উপজেলা (খুলনা জেলা)  আয়তন: ১৮৯.৪৮ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৫০´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৩৪´ থেকে ৮৯°৪৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কালিয়া উপজেলা, দক্ষিণে রূপসা উপজেলা, পূর্বে মোল্লাহাট উপজেলা, পশ্চিমে দিঘলিয়া উপজেলা।

জনসংখ্যা ১১০৬২৮; পুরুষ ৫৭১৩৬, মহিলা ৫৩৪৯২। মুসলিম ৮৬৮৯৫, হিন্দু ২৩৭১০, বৌদ্ধ ৯ এবং অন্যান্য ১৪।

জলাশয় প্রধান নদী: আঠারোবাঁকী।

প্রশাসন তেরখাদা থানা গঠিত হয় ১৯১৮ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।

দর্শনীয় স্থান

নাম ভূতিয়ার বিল
অবস্থানভূতিয়ার পদ্মবিল (Bhutia Padma Beel) খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলায় অবস্থিত। কর্মব্যস্ত এক ঘেঁয়েমী যান্ত্রিক জীবনে জ্বালা জুড়াতে একবার হলেও ঘুরে আসতে পারেন আবহ বাংলার অপরূপ প্রকৃতির প্রতিচ্ছবি ভূতিয়ার পদ্মবিল থেকে। তবে মনে রাখবেন, বিল দেখতে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় সকাল ৬-৬:৩০ টা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফুল বুজে যেতে থাকে
কিভাবে যাওয়া যায়খুলনা জেলখানা ঘাট পার হয়ে যেতে হবে ১৮ কিঃমিঃ দূরে তেরখাদা বাজারে। বাস বা টেম্পূতে সেখানে যাওয়া যায়। তেরখাদা বাজারে নেমে যে কাউকে পদ্মবিলের কথা বললেই জায়গাটি দেখিয়ে দেবে। পদ্মবিলে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ওখানে অনেক নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়। ওরা আপনাকে পুরাটা ঘুরিয়ে দেখাবে। ভাড়া ২০০ টাকার মতো নিতে পারে। তবে নৌকাগুলো কিন্তু ছোটছোট, ২/৩ জনের বেশি ওঠা যায় না। যদি কম খরচে যেতে চান, তাহলে খুলনা শহর থেকে জেলখানাঘাট পার হয়ে সেনেরবাজার থেকে তেরখাদাগামী বাসে উঠতে হবে। তেরখাদার দুই-তিন স্টপেজ আগেই হাড়িখালী নামক একটা জায়গায় নামতে হবে। সেখানে থেকে ইজিবাইক নিয়ে চরকুশলা গ্রামে। পিচঢালা পথ। চর কুশলা মোড়ে গিয়ে স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে ডিংগি ভাড়া করে নিয়ে পদ্ম বিলে যেতে হবে। অথবা গাড়ি থাকলে সরাসরি যেতে পারেন, রুট সেইম। গাড়ি স্থানীয় কারো বাসায় রিকুয়েস্ট করলে রাখতে দিবে। মনে রাখবেন, খুলনা থেকে চরকুশলা যেতে দেড় ঘন্টা লাগে। তাই সেই ভাবে সময় হিসেব করে বের হবেন।